মের্দাবাড়ির ইতিকথা [পার্ট ৬] [আবর্তন]

১ শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে গোঙ্গানোর শব্দ বাড়িয়ে দিয়েছে আফসানা। ভেতর থেকে এছাড়া আর কোন শব্দ আসছে না। সময়টা অসহ্য ঠেকছে কিন্তু কিছু করার নাই, মনেমনে ভাবল মৌমিতা। জেনে শুনেই এখানে নিয়ে এসেছে ওদেরকে। দরজার সামনে থেকে সরে নিচের ঘরে নেমে গেল মৌমিতা।এখানে আসার আগেই মৌমিতাদির সাথে বিশ্বদার কথা হয়েছিল। তাই মৌমিতাদি আফসানা … Read more

মের্দাবাড়ির ইতিকথা [পার্ট ৫] [মৃত দেহের স্বাদ]

১ বিশ্বজিত চৌধুরী। সত্য নারায়ন চৌধুরীর বড় ছেলে। যখন কলেজে পড়ে তখন গ্রাম ছেড়ে যশোর শহরে এসে থাকা শুরু করে। কিছু দিনের মধ্যে ছোট ভাই অজিতকেও নিয়ে আসে শহরে লেখাপড়ার জন্য। গ্রাম থেকে নিয়মিত টাকা পাঠান হত তাদের নামে। জিবনটা গুছিয়ে নিতে তেমন কষ্ট করতে হয়নি। অবস্থা বুঝে কলকাতা পারি দিল একদিন। লাইন ঘাট করে … Read more

মের্দাবাড়ির ইতিকথা [পার্ট ৪] [গ্রহনের কাল]

রাজিয়া বেগমের শোবার ঘর উঠানের পূর্ব পাশে হওয়াতে ঘরের পেছনের কাঠের দেওয়ালে ভোরের প্রথম আলো এসে পড়ে। ওপাশের বন্ধ জানালার ফাক দিয়ে এক ফালি আলো এসে ঘুম ভাঙিয়ে দেয় মর্জিনার। সূর্যটা যত উপরে উঠতে থাকে তত দুরে সরে যেতে থাকে আলোর রেখাটা। মর্জিনার চোখ থেকে সরে যায় নিচের দিকে। শ্যামলা বর্নের নগ্ন শরিরে ঢেউ খেলে … Read more

মের্দাবাড়ির ইতিকথা [পার্ট ৩] [ইতিহাস]

রেজাউল হাকিম, খুব সাধারন একটা নাম। গ্রামের আর দশটা ছেলের মত বড় হয়েছে। বাবার সাথে এ বাড়ি ও বাড়ি দিন মজুরের কাজ করত ছোট বেলায়। এক দিন খেতে পায়, আরেক দিন উপোষ। সব ধরনের গতর খাটানো কাজ জানে। কিন্তু বয়স কম বলে তাকে কাজে নেওয়া হয় না। এর মধ্যে রেজাউলের বাবা মারা যায়। মা কে … Read more

মের্দা বাড়ির ইতিকথা [পার্ট ২] [বিপ্রতীপ স্রোত]

সেগুন কাঠের বিছানা। যত্ন করে বানান। মাথার দিকে বাহারি নকশা করা অর্ধবৃত্তাকার কার্নিশ। বেশি দিন হয়নি এ ঘরে আনা হয়েছে, এর মধ্যেই নড় বড়ে হয়ে গিয়েছে। নড়া চড়া করলেই ক্যাচ ক্যাচ শব্দ করে। এখনও করছে। কিন্তু ওরা দুজনে আমলই দিচ্ছে না। শুরু করার পর মাত্র আধা ঘন্টা হয়েছে। আধা ঘন্টা-এক ঘন্টায় কিছুই হয় না রাজিবের। … Read more

মের্দা বাড়ির ইতিকথা [পার্ট ১] [উত্তরাধিকার]

খলিল মের্দা। মের্দা বাড়ির একমাত্র সন্তান। লেখা পড়া করেনি বেশি দুর, তবে হিসাব-নিকাশ বুঝে ভাল। মাথায় যথেষ্ট বুদ্ধি রাখে। কিভাবে মানুষদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হয় তা জানে। এই গুনটা তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া। খলিল মের্দার মা অশিক্ষিত গ্রামের মেয়ে হলেও যথেষ্ট চালাক ছিলেন। সহজ-সরল স্বামীকে দিয়ে কৌশলে আনেক কাজ করিয়ে নিয়েছিলেন সময় মত, … Read more

error: Content is protected !!